পোস্টগুলি

ত্রিপুরায় বাংলা কবিতা

স্বপন সেনগুপ্ত . জীবনের কাছ থেকে মর্মে মর্মে পাওয়া অভিজ্ঞতার খিলান, গম্বুজেই তো লুকিয়ে থাকে কবিতার স্থাপত্য। আর এই স্থাপত্য তো একজনের তৈরি নয়, বহুকালের বহুজনের মেধা, কল্পনা ও ঘামের উত্তরাধিকার। ভাবতে গেলে অনেক কিছুই তো কেমন অ্যবাসার্ড। প্রতিটি সূর্যাস্তেই, যদিও পৃথিবীতে কখনও সূর্যাস্ত হয় না, প্রভাত, সায়াহ্ন ও রাত্রি হয়, তবুও আমাদের বয়স প্রতি রোববারে বেড়ে যায়। আলব্যের কাম্যুর ‘দ্য আউটসাইডার’ উপন্যাসের শুরুই একটি টেলিগ্রাম দিয়ে, ‘তোমার মা গত হয়েছেন। কাল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। গভীর সহানুভূতি।’ আর আমাদের চোখের সামনেই তো ইতিহাস হয়ে গেল টেলিগ্রাম। আমরা এখন যে কোনও ঘটনার সংবাদ ও ছবি পেয়ে যাই মুহূর্তে। সময়ের চেয়ে সংবাদ এখন অনেক বেশি দ্রুতগামী। ত্রিপুরায় রচিত কবিতা তো কোনওকালেই বাংলা কবিতা থেকে আলাদা ছিল না। বরং পেছন থেকে ছুটতে ছুটতে এগিয়ে যাওয়া সময়কে আমরা ধরতে চেয়েছি সেই ভগ্নহৃদয়(১৮৮১) এবং প্রেম মরীচিকার(১৮৯৬) কাল থেকেই। ভালোবাসার কাছে আমরা হেরে যেতে ভালোবাসি বলেই তো রাজ্যে রাজভাষা ছিল বাংলা। রাজকাহিনি লেখা হয়েছিল বাংলায়। রেভারেন্ড জেমস লঙ্ সাহেব যাকে বলেছেন oldest specimen of Bengali Compositio